আপেল এক প্রকারের ফল। এটি রোসাসি (Rosaceae) পরিবারের ম্যালিয়াস ডমেস্টিকা (Malus domestica ) প্রজাতিভুক্ত। আপেল মূলত তার মিষ্টি স্বাদের জন্য জনপ্রিয়। সারা পৃথিবীব্যাপী আপেলের চাষ হয়ে থাকে এবং সবচেয়ে বেশি চাষকৃত প্রজাতি হচ্ছে জেনাস ম্যলুস (genus Malus)। মধ্য এশিয়াকে আপেলের উৎপত্তিস্থল মনেকরা হয়, যেখানে এখনও তার পূর্বতন বুনো প্রজাতি ম্যলুস সিভেরসিকে (Malus sieversii) দেখতে পাওয়া যায়। হাজার হাজার বছর ধরে এশিয়া এবং ইউরোপ জুড়ে আপেলের চাষ হয়ে আসছে এবং ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীদের মাধ্যমে লাতিন আমেরিকায় এর পদার্পণ হয়। অনেক সংস্কৃতিতে আপেলের ধর্মীয় এবং পৌরাণিক তাৎপর্য আছে, এদের মধ্যে নর্স, গ্রীক এবং ইউরোপীয়ান খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য অন্যতম। সাধারণত আপেলের জাতগুলি মূলের কলমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা ফলস্বরূপ গাছের আকার নিয়ন্ত্রণ করে। আপেলের প্রায় ৭,৫০০ টির বেশি পরিচিত জাত রয়েছে।

আপনি কি জানেন আপেল এ কি কি পুষ্টি উপাদান আছে?
ভিটামিন – K
ভিটামিন – C
ভিটামিন – বি ৬ (B6)
খাদ্যশক্তি – ৫২ কিলোক্যালরি
শর্করা – ১৩.৮১ গ্রাম
চিনি – ১০.৩৯ গ্রাম
খাদ্যআঁশ – ২.৪ গ্রাম
চর্বি – ০.১৭ গ্রাম
আমিষ – ০.২৬ গ্রাম
জলীয় অংশ – ৮৫.৫৬ গ্রাম
ভিটামিন এ – ৩ আইইউবিটা
ক্যারোটিন – ২৭ আইইউ
লুটেইন – ২৯ আইইউ
থায়ামিন – ০.০১৭ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন – ০.০২৬ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন – ০.০৯১ মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড – ০.০৬১ মিলিগ্রাম
ফোলেট – ৩ আইইউ
ভিটামিন সি – ৪.৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই – ০.১৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে – ২.২ আইইউ
ক্যালসিয়াম – ৬ মিলিগ্রাম
আয়রন – ০.১২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম – ৫ মিলিগ্রাম
ম্যাংগানিজ – ০.০৩৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস – ১১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম – ১০৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম – ১ মিলিগ্রাম
জিংক – ০.০৪ মিলিগ্রাম
ফ্লোরাইড – ৩.৩ আইইউ
আপনি কি আপেলের উপকারিতা গুলো জানেন ?
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২) আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়।
৩) আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় ২৩% হারে কমে।
৪) ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাaয় ।
৫) কোলেস্টেরল কমায়।
৬) হার্ট ভালো রাখে।
৭) গলস্টোন সারাতে সাহায্য করে।
৮) ডায়ারিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৯) ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১০) লিভার সুস্থ থাকে।
আপেলের বীজ থেকে খুব সাবধানে থাকবেন কারণ এটি ড্রাগ অর্থাৎ সাইনাইডের ভূমিকা নিতে পারে। আপেলের বীজ থেকে নানারকমের ড্রাগ তৈরী করা হয়।